আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে আবু ইউনুস মোহাম্মদ শহিদুন্নবী জুয়েলকে (৫০) পিটিয়ে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর ঘটনায় পাটগ্রামের প্রাক্তন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুন নাহারের ভূমিকা বিষয়ে তদন্ত অনুষ্টিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) সকাল ১১টার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক আবু জাফর এ তদন্ত শুরু করে বিকেলে শেষ করেন।
২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগে আবু ইউনুস মোহাম্মদ শহিদুন্নবী জুয়েল নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার পর প্রকাশ্যে লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সময় প্রাক্তন ইউএনও কামরুন নাহার ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। ওইদিন ইউএনও কামরুন নাহারের দায়িত্ব ও কর্তব্য অবহেলা এবং অদক্ষতার বিষয়ে তদন্ত চলাকালীন সময়ে ঘটনার দিন উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী ১৪জন ব্যক্তির সাক্ষ্য নেন। এ সময় পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাম কৃষ্ণ বর্মণ, পাটগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবেল রানাও উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক আবু জাফর তদন্ত শেষে সাংবাদিকদের বলেন, এটা একটা প্রশাসনিক তদন্ত। ওই সময় যারা ঘটনাস্থলে ছিলেন এবং ইউএনওসহ যারা কাছে থেকে ওখানে কাজ করেছেন তাদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে যে তথ্য পেয়েছি সে তথ্যর প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
বুড়িমারীতে জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় গত বছরের ৩১ অক্টোবর নিহতের চাচাতো ভাই সাইফুল আলম, পাটগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান আলী ও বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত বাদী হয়ে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করেন। ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ ও তদন্তের পর আসামী শনাক্ত করে ওই তিন মামলায় এ পর্যন্ত ৪৭ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।